আজকের বিশ্বায়নের যুগে প্রতিদিনই সবকিছু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতারও শেষ নেই। গঠনমূলক ও ধ্বংস্মতক দুটোই আছে। মানুষ বর্বর থেকে আধুনিকতায় আর অসভ্যতা থেকে সভ্যতায়। প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক যুগে। ব্যক্তি, সমাজ দল ও রাষ্ট্রের সবকিছুই অবস্থাভেদে পাল্টে যাচ্ছে দিনদিন।
ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রেও যেমন ঘটেছে পরিববর্তন, সমাজ সভ্যতা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেও প্রাসঙ্গিক যৌক্তিক পরিবর্তন এসেছে। এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিশ্বের তাবৎ বিষয় পরিবর্তন হলেও নিজেদের বদলাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। আসলে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে পাল্টানো।
মানুষের চিন্তা চেতনা কর্মকাণ্ড সবকিছুই মানুষ পরিচালনা করছে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। কিন্তু আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের রয়ে গেছে আগের মতোই। জন্মগতভাবেই বাকশালী চেতনা, এক নায়কতান্ত্রিক মানসিকতা, স্বৈরাচারী অবয়ব, উশৃঙ্খলতা ও উগ্র ভাষা সবই যেন তারা সযত্নে লালন করছে আজও।
কারণ মানুষ যখন অহংকারী হয়ে যায়। তখন আর কাউকে সে তোয়াক্কা করেনা। অহংবাদ : ইগোইজম, অর্থাৎ নিজের সত্তা বা অস্তিত্ব ব্যতীত অন্যকিছুকে স্বীকার না করা। একনায়কত্ব থেকে এর জন্ম। ল্যাটিন শব্দ ডিক্টেটর থেকে একনায়কত্ব (ডিক্টেটরশিপ) কথাটির উৎপত্তি। কোনো শাসক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষ যখন শাসিতের মতামতের ধার না ধেরে একচ্ছত্রভাবে শাসনকাজ চালিয়ে যায় তখন তার বা তাদের শাসনকে বলে একনায়কত্ব। একনায়কত্ব সর্বদাই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের একচ্ছত্র স্বার্থে প্রতিপক্ষের ওপর সার্বিক নিষ্পেষণ চাপিয়ে দেয়।
এখান থেকেই জন্ম নেয় স্বৈরতন্ত্রের। স্বৈরতন্ত্র : অথোরিটারিয়ানিজম বা অটোক্রাসি বা ডিসপটিজমই হলো স্বৈরতন্ত্র, স্বৈরশাসনবাদ বা স্বেচ্ছাচারবাদ। এই মতবাদের সমর্থকদের মতে গণতন্ত্র জাতিকে বিভক্ত ও দুর্বল করে। বলা হয়ে থাকে স্বৈরতন্ত্র গণতন্ত্রের বিপরীত এবং প্রায়শই গণস্বার্থবিরোধী। ব্যক্তিত্ববাদ বা ব্যক্তিত্বপূজা : কাল্ট অব দ্যা ইনডিভাইজ্যুয়াল, কার্লাইল (১৭৯৫-১৮৮১) প্রমুখ দার্শনিক ব্যক্তিবাদকে দার্শনিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করান। এদের মতে বস্তুগত নিয়মাবলী বা জনগনের যৌথ ইতিহাসের তেমন গুরুত্ব নেই।ভক্তরাই প্রায়শই এরূপ ব্যক্তিদের অতিমানব বলে বিবেচনা করে, তাকে দোষ-ত্রুটি ও সাধারণ বিবেচনার ঊর্ধ্বে বলে বিশ্বাস করে,
এমনকি তার ওপর রহস্যময়তা ও অলৌকিকত্বও আরোপ করে। এজন্যই একসময়ে যারা আদর্শের ব্যক্তিকরণ হিসাবে সম্মানিত বা
পূজিত হয়েছেন, অন্য সময় তারাই ব্যক্তিত্ববাদী বা আত্মবাদী বলে সমালোচিত ও বর্জিত হয়েছেন। এমনকি, স্ট্যালিন, মাও-এর মতো ব্যক্তিত্বরাও এই অভিযোগ থেকে রেহাই পাননি।
মানুষ অতীতকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভুলে যায়। এই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকেই আরবীতে নাসিউন শব্দ থেকে ইনসান। অর্থাৎ মানুষ মানেই ভুলে যায়। বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ আজ ১৫ বছরের অধিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত।
আওয়ামীলীগ জনগণের কেড়ে নিয়ে প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকারকে ভুলুন্ঠিত করে বন্দুকের নল দিয়ে আওয়ামী লীগমানুষকে শাসন করছে ১৫ বছর ধরে। সেই আকঁড়ে ধরা ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে আবারো নতুন ষড়যন্ত্র এবং প্রক্রিয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে দেশের জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে যাচ্ছে। রাজপথে জীবন দিচ্ছে কারারুদ্ধ হচ্ছে কিন্তু জনগণ থেমে যায়নি থেমে যাবে না। এ অবস্থায় বাংলাদেশ দেশের জনগণ যেমনি দু ভাগে বিভক্ত। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোও তাদের সুযোগ সুবিধার জন্য আজকে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণের ভোটাধিকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রামে সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
আর অন্যদিকে দখলদার নতজানু এ সরকার থেকে বিগত ১৫ বছরে যারা সুবিধা নিয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য বিভিন্নভাবে সেই ভারত, চীন রাশিয়া তারা তাদের অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য এখানে অগণতান্ত্রিকের সরকারকে সমর্থন যোগাচ্ছে।এর মধ্য দিয়ে চলছে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একতরফা নির্বাচনের আরেকটি ডামাডোল। যারা এই অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিবাদ করছে তার মধ্যে অন্যতম আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার জন্য তাকেই অথবা যুক্তরাষ্ট্র কি আস তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বানিয়ে প্রতিদিন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। যা দেশের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে না। কারণ বাংলাদেশ এখনও তার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য পোশাক শিল্পের রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। এচাড়া রেমিটেন্স আহরণের জন্য অন্যান্য খাতও সমানহারে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের বৃহৎ খাত গ্যাস-জ্বালানি সরবরাহের জন্যও তাদের সহযোগিতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বিদেশি বিনিয়োগে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ, যদিও তা বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ। এমতাবস্থায় সরকার তাদেরকে প্রধান শত্রুর তালিকায় অথবা বিরোধী দলের মতোই আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে দেশ এবং দেশের বাহিরে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
কথায় বলে কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না। আওয়ামী লীগ এই ১৫ বছরের প্রতিটি নির্বাচনের সময় আমেরিকাকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ বানিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতায় তৎপরতা চালিয়ে আসছে।
আমরা মনে করি আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার লোভ এবং পারস্পরিক সংলাপ ও সমঝোতার ভিত্তিটি রাজনীতিতে অনুপস্থিত থাকার কারণে বিদেশিরা এখানে নাক গলানোর সুযোগ পায় সেটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য কখনো মঙ্গলজনক নয়। আমাদের নিজেদের সমস্যা আমরাই সমাধান করব এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারতাম তাহলে এখানে ভিসা নীতির মতো অপমানজনক অধ্যায় অথবা কোন ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রয়োজন হতো না।
কিন্তু দুঃখজনক বাংলাদেশের এই নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বা এককেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির কারণে একটি দেশের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার অভিলাষ থেকে এই পরিস্থিতির জন্ম হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়ার ইতিহাস রয়েছে। নিজেদের সুযোগ-সুবিধার জন্য তারা এখানে ১-১১ সৃষ্টি এবং বিদেশিদের হাতে রাজনীতিকে তুলে দেয়ার আয়োজন করেছে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে বিদেশিদের তৎপরতার ভিত্তিতেই এখানে ওয়ান ইলেভেন তৈরি করার প্রধান কারিগর আওয়ামী লীগ নিজে। কিন্তু সে আওয়ামী লীগের এখন বিদেশিদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি খড়গহস্ত।
প্রতিদিনই আক্রমণাত্মক কুরুচিপূর্ণ এমনকি হত্যা করার হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুপার পাওয়ার আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে। এটি কেন? আওয়ামী লীগের চরিত্র এমনই নিজেদের স্বার্থে সব করতে পারে। বলা হয় আওয়ামী লীগের সাথে থাকলে সঙ্গী দূরে গেলেই জঙ্গি। আওয়ামী লীগের নিজের স্বার্থে যে কোন কাজই করতে পারে!
(এক)
২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালকে ‘দুই আনার মন্ত্রী’ , এবং তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে ‘কাজের মেয়ে মর্জিনা আপনাকে (খালেদা জিয়াকে) হাত ধরে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবে—এটা ভাবা অবান্তর। ’রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগের ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। (সূত্র প্রথম আলো)।
(দুই)
২০১৮ সালের আগস্টে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এ চার্জশিট জমা দেয়। মামলার এজাহার অনুসারে, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন। নৈশভোজ শেষে বার্নিকাট রাত ১১টার দিকে ফেরার পথে অজ্ঞাত ৩০-৪০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা গাড়িবহরকে ধাওয়া দেয় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা পিস্তল ও লাঠিসোটা বহন করছিল এবং বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় হামলা করে
বাসার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা
করেন। ( প্রথম আলো)
(তিন)
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের শাহীনবাগের বাসায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখানে পিটার হাসকে ঘিরে ধরে এবং তার জীবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে যায়। দ্রুতই তিনি স্থান ত্যাগ করেন।ঘটনার পরের দিনই ওয়াশিংটনে ঢাকার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। সেই বৈঠকে পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান দেশটির কর্মকর্তা। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বিএনপির নিখোঁজ নেতার বাসভবনে যাওয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতির পর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে আমেরিকার সরকার।
(চার)
ছাত্রলীগরে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পিটার হাসকে তাদের (বিএনপি-জামায়াত) এর পৃষ্ঠপোষক উল্লখে করে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ‘আমরেকিার উদ্দেশে বলব, টেক ব্যাক ইওর হাস। হাসকে আপনারা ফিরিয়ে নিয়ে যান। এই হাঁস, পাতিহাঁসকে—বাংলাদশে আমরা চাই না। আমরা হাঁস অনকে জবাই করে খেয়েছি। রাজহাঁস র্পযন্ত এই বাংলার মানুষ ধরে ধরে খায়। এ সময় ছাত্রলীগরে সভাপতি সাদ্দাম হোসনেসহ অন্য নেতারাও উপস্থতি ছলিনে।(প্রথম আলো ১১ নভম্বের ২০২৩)
(পাঁচ)
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বললেন বাংলাদশে ছাত্রলীগরে সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এমন বিষয়টি লেখেন।
(ছয়)
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন। বক্তব্যটি তিনি নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন। বক্তব্যে তিনি বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করেন। এর আগে মুজিবুল হক চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ইভিএম বোতাম চেপে দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে তার লোক থাকবে বলে আলোচনায় আসেন। তখন থেকে তিনি ‘টিপ মারা মুজিব’ নামে পরিচিতি পান।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, ‘পিটার হাস বলছেন, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। পিটার হাস আমরা আপনাকে ভয় পাই না। আমরা মোটা চালের ভাত খাই। আপনি বিএনপির ভগবান। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ ইমান বেচি না। আপনাকে এমন মারা মারব, বাঙালি কত দুষ্টু তখন বুঝতে পারবেন। ( প্রথম আলো)