“দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারি এবং মাফিয়া আওয়ামী সরকারের পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান”
৭ জানুয়ারির কথিত নির্বাচনের নামে ক্ষমতা যবরদখলকারীরা দেশ ও জাতির সাথে যে বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতারণা করেছে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ববাসী তা সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে। তাই ডামী ও নির্বাচন নির্বাচন খেলার আত্মপ্রবঞ্চনামূলক নির্বাচন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোন মহলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি বরং জনগণ এই নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থেকে সাজানো ও পাতানো নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। কিন্তু দখলদার সরকার এই কলঙ্কিত নির্বাচনকে ভিত্তি ধরেই ক্ষমতার মেয়াদপূর্ণ স্বপ্নবিলাসে বিভোর। কিন্তু সচেতন জনতা তাদের সে দিবাস্বপ্ন কখনোই সফল হতে দেবে না বরং গণবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
রুকন কোন পদপদবী নয় বরং একটি মান, দায়িত্ব ও আত্মপোলব্ধির নাম। তাই দেশ ও জাতির সমস্যা এবং সম্ভবনাগুলোকে চিহ্নিত করে শপথের জনশক্তিকে সমস্যার সমাধান ও সম্ভবনাগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। সবার আগে নিজেকে উপলব্ধি করে নিজের করণীয় ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে বাস্তবজীবনে সে সবের যথাযথ প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সৃষ্টি করতে হবে নেতৃত্বের গুণাবলী। চলমান শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। দ্বীনি জ্ঞান বৃদ্ধি ও আমল পরিচ্ছন্ন করার জন্য প্রত্যেক হতে হবে কঠোর অধ্যবসায়ি। একই সাথে দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য ময়দানে হতে হবে অতন্ত্র প্রহরী ও আপোষহীন। তা হলেই দ্বীনের বিজয় হবে সহজ হতে সহজতর।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং ড. মাওলানা আব্দুল জব্বাব খানের দারসুল কুরআনের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনে আমার সাথে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও হাতিরঝিল জোন পরিচালক হেমায়েত হোসাইন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবুল হাসেম, আবু সাদিক ও আশিকুর রহমান প্রমূখ।