ইসলামী আন্দোলনের পথ ফুল বিছানো নয় বরং কন্টকপূর্ণ; তাই সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা-প্রতিকূলতা এবং জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করেই দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ ল²ীপুরে ১৯ নং তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন আমীর আবুল কালাম আজাদ মাকছুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আমীর মাস্টার রুহুল আমীন ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারি সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন মাহমুদ, কুশাখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদুল্লাহ নাসিম, জেলা জামায়াতে অধ্যাপক আব্দুর রহমান ও ল²ীপুর শহর আমীর এডভোটেক আবুল ফারাহ নিশান প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, জামায়াত একটি আদর্শিক ও কল্যাণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। দেশ ও জাতির সকল ক্রান্তিকালে জামায়াত ঐতিহাসিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। সকল আন্দোলন-সংগ্রামে জামায়াত জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছিল আপোষহীন। আমরা দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমাদের এই মিশন বাস্তবায়নে কর্মীদেরকে রাজপথে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্য হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াত দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন, দুঃশাসন মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। আর স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদ মোকাবেলায় আমরা সব সময় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মূলত, বাংলাদেশ সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও খোদাভীরু নেতৃত্বের অভাবে গভীর সংকটে নিপতিত। দুর্নীতি, অপশাসন ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে সঠিক নেতৃত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে সৎ, দক্ষ ও খোদাভীরু নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। তাই জামায়াতে ইসলামী সমাজে খোদাভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। তিনি ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো আহবান জানান। অন্যথায় একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না।