ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম
  • English
  • প্রচ্ছদ
  • জীবন বৃত্তান্ত
  • লেখালেখি
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • ইসলামী আন্দোলন
    • বাংলাদেশ
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • ধর্ম
    • ইতিহাস
    • প্রবন্ধ
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • তথ্যকোষ
    • বই
    • বক্তব্য
    • ছবি গ্যালারী
    • ভিডিও গ্যালারী
  • সংবাদ/কার্যক্রম
    • দাওয়াহ কার্যক্রম
    • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
    • তথ্য ও গবেষণা
    • বিবৃতি/বাণী
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • আইন ও মানবাধিকার
    • আন্তর্জাতিক
    • পরিবেশ ও কৃষি উন্নয়ন
    • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি
    • যুব ও ক্রীড়া
    • শ্রমিক কল্যাণ
    • সমাজ কল্যাণ
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
    • স্বাস্থ্যসেবা
  • যোগাযোগ
No Result
View All Result
Dr. Mohammad Rezaul Karim
  • প্রচ্ছদ
  • জীবন বৃত্তান্ত
  • লেখালেখি
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • ইসলামী আন্দোলন
    • বাংলাদেশ
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • ধর্ম
    • ইতিহাস
    • প্রবন্ধ
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • তথ্যকোষ
    • বই
    • বক্তব্য
    • ছবি গ্যালারী
    • ভিডিও গ্যালারী
  • সংবাদ/কার্যক্রম
    • দাওয়াহ কার্যক্রম
    • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
    • তথ্য ও গবেষণা
    • বিবৃতি/বাণী
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • আইন ও মানবাধিকার
    • আন্তর্জাতিক
    • পরিবেশ ও কৃষি উন্নয়ন
    • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি
    • যুব ও ক্রীড়া
    • শ্রমিক কল্যাণ
    • সমাজ কল্যাণ
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
    • স্বাস্থ্যসেবা
  • যোগাযোগ
Dr. Mohammad Rezaul Karim
No Result
View All Result

আল-কুরআন নাজিলের মাস মাহে রমযান -ডঃ মুহাম্মদ রেজাউল করিম

মে 22, 2019
আল-কুরআন নাজিলের মাস মাহে রমযান -ডঃ মুহাম্মদ রেজাউল করিম

আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির হেদায়েতের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কোরআন আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)- এর ওপর এই রমজান মাসেই অবতীর্ণ করেছেন, আর মানুষকে দিয়েছেন খেলাফতের দায়িত্ব। যুগে-যুগে নবী-রাসুলরা ওহী লাভের আগে ও পরে বিভিন্ন সময় রোজা পালন করেছেন। হজরত মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে আল্লাহর কাছ থেকে তওরাত পাওয়ার আগে ৪০ দিন পানাহার ত্যাগ করে মানব জীবনের বহু ঊর্ধ্বে আরোহণ করেছেন। হজরত ঈসা (আ.) ইনজিল পাওয়ার আগে ৪০ দিন অনুরূপ সাধনা করেছেন। হজরত আদম (আ.) থেকে হজরত নুহ (আ.) পর্যন্ত চন্দ্র মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখে রোজা ফরজ ছিল। তাকে আইয়্যামে বিজ রোজা বলা হতো। ইহুদি-খ্রিস্টানদের ওপর রোজা ফরজ ছিল। 

প্রাচীন সেমাইট,রোমক,ব্যাবিলনীয়,আসিরীয়,জৈন,জয়থস্ত্রীয় প্রভৃতি জাতির মধ্যে রোজার প্রচলন ছিল। এখানে উল্লেখ্য,ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মে চিন্তার বিভিন্নতা নিয়ে তারা রোজা পালন করত। কেউ কেউ এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ির নীতিও অবলম্বন করে থাকে। যেমন ইহুদিরা সপ্তাহব্যাপী উপবাস থাকে,খ্রিস্টানরা সূর্যাস্তের অনেক পর আহার গ্রহণ করে। কিন্তু ইসলামই একমাত্র ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা,সাহরি ও ইফতারের নির্দিষ্ট সময় অনুসরণ করে চলছে। আল্লাহ তায়ালা সব আসমানি কিতাব এ মাসেই অবতীর্ণ করেছেন,এ মাসেই ইব্রাহিম (আ.)-এর সহিফাগুলো প্রেরিত হয়েছে। হজরত দাউদ (আ.)-এর প্রতি যবুর শরীফ এই মাসের ১২ অথবা ১৮ তারিখে নাজিল হয়েছে। হজরত মুসা (আ.)-এর তৌরাত শরীফ এই মাসের ৬ তারিখে অবতীর্ণ হয়েছে। হজরত ঈসা (আ.)-এর প্রতি ইনজিল কিতাব এই মাসের ১২ কিংবা ১৩ তারিখে অবতীর্ণ হয়েছে। 

রোজা ফারসি শব্দ যার অর্থ উপবাস। আরবি রজম থেকে রোজা অর্থ পোড়ানো বা দহন করা। রোজার মাধ্যমে মানুষ তার পাপ প্রবণতাকে দহন করে নির্মল হয়। আর সিয়াম বহুবচন,একবচনে সাওম অর্থাত্ স্থগিত রাখা,বিরত রাখা, চুপ থাকা,আত্মসংযম ইত্যাদি। সুতরাং সুবহে সাদিক অর্থাত্ প্রভাতের আলোর সাদা রেখা প্রকাশের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার,যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকাকে সিয়াম বলা হয়। তাই আল্লাহ তায়ালা বলেন,‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে যেমনি তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপরও ফরজ করা হয়েছিল,যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।’(সূরা-বাকারা : ১৮৩) 

উসমান ইবনে আবুল আস (রা.) বর্ণনা করেন : আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি,যুদ্ধের সময় তোমাদের কাছে যেমন ঢাল থাকে তোমাদেরকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য,রোজা তোমাদের জন্য তেমনি ঢাল যা জাহান্নাম থেকে তোমাদের রক্ষা করবে। (তারগিব ও তারহিব) আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুল (সা.) বলেছেন : যে ব্যক্তি (অর্থাত্ সফর,অসুস্থতা ইত্যাদি) কারণ ছাড়া রমজানের একটা রোজা রাখল না,সে যদি তা পূরণের জন্য জীবনভর রোজা রাখে,তাহলেও ওই একটি রোজার ক্ষতি পূরণ হবে না। (তিরমিযি,আবু দাউদ) অন্য হাদিসে আছে,আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রমজানের রোজা ফরজ করেছেন এবং আমি তাকে তারাবি পড়ার নিয়ম চালু করেছি। সুতরাং যারা ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে (আখিরাতে প্রতিফল পাওয়ার আশায়) রমজানের রোজা রাখবে এবং তারাবি পড়বে,তারা গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হয়ে যাবে,যেভাবে তারা জন্মের সময় গুনাহ থেকে পাক ছিল। (তারগিব)

আল্লাহ তায়ালা মানুষের মর্যাদা নির্ণয় করেছেন তাকওয়ার ভিত্তিতে। আর তাকওয়া হলো আল্লাহর ভয়। আল্লাহ বলেন—‘ইন্না আকরামাকুম ইন্দাল্লাহে আত্কাকুম’—অর্থাত্ তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়ার অধিকারী। আল্লাহকে ভয় করার পূর্ণাঙ্গতা প্রকাশ পায় সিয়ামের মধ্য দিয়ে,যা অন্য কোনো ইবাদতের মধ্যে প্রকাশ পায় না। যেমন—নামাজ,মানুষকে দেখানোর ইচ্ছা থেকে পড়া যেতে পারে। আল্লাহ বলেন,তাদের জন্য ধ্বংস যারা লোকদেখানো নামাজ আদায় করে। হজের মধ্যে অহঙ্কার থাকতে পারে। ঘটা করে জাকাত প্রদান করা আজকাল আমাদের সমাজে তো রসমে পরিণত হয়েছে। মাঝে মধ্যে জাকাত আনতে গিয়ে গরিব মানুষ পিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও কম ঘটছে না। অথচ জাকাত গরিবের অধিকার,তার বাড়িতে গিয়ে তাকে জাকাত প্রদান করে আসার কথা,যেমনি পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ করা হয়। সাওম বা রোজা এমন একটি ইবাদত যা মানুষ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহকে ভয় করার সর্বোত্তম একটি প্রমাণ।

রোজা কেবল মানুষ আল্লাহর ভয়ে রাখে। রোজা মানুষকে দেখানো যায় না। রমজানের একটি নফল অন্য সময়ের ফরজের সমতুল্য,রমজানের একটি ফরজ অন্য সময়ের সত্তরটি ফরজের সমান। রোজাদারের মুখের গন্ধ মিশ্ক আম্বরের মতো। রাসুল (সা.) বলেন,মানুষের প্রত্যেকটি কাজের ফল আল্লাহর দরবারে কিছু না কিছু বৃদ্ধি পায়। একটি নেক কাজের ফল দশ গুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়ে থাকে। আল্লাহ বলেন—রোজাকে এর মধ্যে গণ্য করা হবে না। কারণ রোজা খাস করে কেবল আমার জন্য রাখে। আর আমিই তার প্রতিদান দেব। রোজাদারের আনন্দ দুটি—প্রথম সে ইফতার করার সময়,দ্বিতীয় আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। সিয়ামের মাসে এত বেশি কল্যাণের কারণ আসল উদ্দেশ্য বাদ দিয়ে এর ফজিলতগুলোকে আলাদা করে চিন্তা,উপলব্ধি ও পালন করে প্রকৃত অর্থে সফল হওয়া যাবে কি? 

মানুষের নৈতিক সত্তার বিকাশ সাধনে সৃষ্টির আদি থেকে দুটি বিষয় বিপর্যয় সৃষ্টির জন্য দায়ী,তা হলো—এক. উদরপূর্তি বা ভোগবিলাস,দুই. নারী সম্ভোগ ও অতি আরামপ্রিয় উচ্চাভিলাষী মনোবৃত্তি। আর যদি লাগামহীনভাবে এগুলো চরিতার্থ করার মানসিকতা গড়ে ওঠে তাহলে মানব সমাজে মহাবিপর্যয় দেখা দেয়। আজকের পাশ্চাত্য সমাজ তারই প্রমাণ। দায়িত্বহীনতা ও কর্তব্যপরায়ণতার গণ্ডি থেকে মানুষ বের হয়ে মারামারি,হানাহানি,যুদ্ধ-বিগ্রহ,সন্ত্রাস,রাহাজানি,খুন,অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় লিপ্ত হয়। অথচ আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী বাসোপযোগী করে সমাজ সভ্যতা গড়ার নিমিত্তে মানুষ তৈরি করেছেন। আমাদের পাশবিক প্রবৃত্তি দমনের জন্যই রোজা প্রবর্তন করা হয়েছে। আর ধনী-গরিবের সেতুবন্ধের নিমিত্তে জাকাত ফরজ করেছেন। 

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন,আমাদের নামাজ কায়েম করার এবং জাকাত দেয়ার হুকুম করা হয়েছে। যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে কিন্তু জাকাত দেয় না,তার নামাজ আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না। অন্য এক বর্ণনায় আছে—সে ব্যক্তি মুসলমান নয়। তার আমল কিয়ামতে তাকে কোনো ফল দেবে না। (তাবরানি) আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন তুমি তোমার সম্পদের জাকাত (যা তোমাদের ওপর ফরজ) আদায় করে দিলে,তখন তুমি আল্লাহর হক আদায়ের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হলে। আর যে ব্যক্তি হারাম সম্পদ সঞ্চয় করল এবং তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করল,সে তার জন্য কোনো প্রতিদান পাবে না,বরং এর জন্য তার গুনাহ হবে। (ইবনে খোযায়মা,ইবনে হিব্বান) 

রমজানের উদ্দেশ্য বর্ণনা প্রসঙ্গে সুপ্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও চিন্তাবিদ শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী বলেন— যেহেতু পাশবিক বাসনার প্রাবল্য ফেরেশতা সুলভ চরিত্র অর্জনের পথে অন্তরায়,তাই এই উপকরণগুলোকে পরাভূত করে পাশবিক শক্তিকে আয়ত্তাধীন করাই হচ্ছে এর আসল তাত্পর্য।তাছাড়া রোজার বাহ্যিক কল্যাণও কম নয়। মানবদেহ একটি যন্ত্রের মতো। রোজার মাধ্যমে পাকস্থলীর বিশ্রাম,কর্মদক্ষতা বাড়ে। চিকিত্সা বিজ্ঞানীদের মতে,এই মাসে উপবাসের কারণে মানুষ অনেক বড় রোগ থেকে মুক্তি পায়। আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের অপবিত্রতা দূর করার জন্য কোনো না কোনো বস্তু সৃষ্টি করেছেন। শরীরকে পরিশুদ্ধ করার বস্তু হলো রোজা,আর রোজা হলো অর্ধেক সবর। (ইবনে মাজাহ) 

একাদশ শতাব্দীর প্রখ্যাত মুসলিম চিকিত্সাবিদ ইবনে সিনা তার রোগীদের তিন সপ্তাহব্যাপী উপবাস পালনের নির্দেশ দিতেন। তিনি সিয়ামকে সিফিলিস এবং বসন্ত রোগের বিশেষ ওষুধ মনে করতেন। ফরাসি বিপ্লবের সময় মিসরের হাসপাতাল গুলোতে সিয়াম পালনই ছিল সিফিলিস রোগের অমোঘ ওষুধ। ড. জুয়েলস এমডি বলেন,যখন একবেলা খাদ্য বন্ধ থাকে তখনই দেহ সেই মুহূর্তটাকে রোগমুক্তির সাধনায় নিয়োজিত করে। ড. ডিউই বলেন,জীর্ণ এবং ক্লিষ্ট রোগীর পাকস্থলী থেকে খাদ্যদ্রব্য সরালে রোগী উপবাস থাকছে না,সত্যিকারভাবে রোগটি উপবাস থাকছে। তাই রোজা মুসলমানদের চিন্তায় ও কর্মে তথা লেনদেন,ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি,প্রত্যেকটি কাজ সার্বক্ষণিক আল্লাহর উপস্থিতির পয়দা করে। 

জীবনের প্রত্যেকটি দিক ও বিভাগ আল্লাহর আইন মোতাবেক সমস্যার সমাধানের অন্যতম শিক্ষাই গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু শুধু না খেয়ে থাকাই আসল টার্গেট নয়। যেমন রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘রোজা রেখে কেউ যদি মিথ্যা কথা বলা ও তদনুযায়ী কাজ করা ছেড়ে না দেয় তবে শুধু খাদ্য পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। রোজার উদ্দেশ্য হলো ক্রোধ, লোভ, মিথ্যা,অন্যায়,অবিচার,ত্যাগ করানো। মায়া,মমতা,আত্মত্যাগ,ন্যায়নীতি,সংযত ইনসাফ,সমবেদনা,মাখলুকের সেবা একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদত করার যোগ্য করে নিজেকে গড়ে তোলা। এর মধ্য দিয়ে পয়দা হয় ভয় ও আমানতদারি। ফলে সমাজের সুখ-সমৃদ্ধি,সুশৃঙ্খলতা,উন্নতির ধারা সূচিত হয়। আর মহান আল্লাহ তায়ালা যে উদ্দেশ্যে মানুষকে তার প্রতিনিধি বানিয়েছেন সেই প্রকৃত উদ্দেশ্যই পরিগ্রহ হয়। রমজানের আসল মর্যাদা হলো এ মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে মানবতার হেদায়েত ও মুক্তির জন্য। 

এ মাসের কদরের রাতে আল্লাহ কোরআন অবতীর্ণ করেছেন যাকে ‘আলফে শাহার’হাজার মাসের চাইতেও উত্তম বলে অভিহিত করা হয়েছে। যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে কদরের রাত ইবাদত করবে তার আগে করা গুনাহগুলো মাফ করে দেয়া হবে। (আল হাদিস) আল্লাহ বলেন : রমজান মাস যে মাসে কোরআনুল কারিমকে নাজিল করা হয়েছে যা মানুষের জন্য নির্দেশাবলি এবং উজ্জ্বল হেদায়েত ও সত্য এবং মিথ্যার পার্থক্যকারী। রমজান মাসে আল্লাহ কোরআন নাজিল করে এ মাসের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। আর যে মানুষগুলো ওই মহাগ্রন্থ আল কোরআনের আলোকে নিজেদের গড়ে তুলবে আল্লাহ তায়ালা গোটা পৃথিবীর সামনে তাদের মর্যাদা সমুন্নত করবেন। 

মহাগ্রন্থ কোরআনের আইন বাস্তবায়নের একজন সৈনিক হিসেবে আল্লাহ তায়ালা ব্যক্তিকে প্রশিক্ষিত করার জন্য রোজা ফরজ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে সত্য এবং মিথ্যার যে চিরন্তন দ্বন্দ্ব তথা কোরআন যে ফোরকান,এর প্রমাণও এই মাসের ১৭ রমজানের ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত। কোরআন মজিদের একটি সূরারই নামকরণ করা হয়েছে সূরা কিতাল, যার অপর নাম হচ্ছে সূরা মুহাম্মদ। হজরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত,অপর একটি দীর্ঘ হাদিসের শেষাংশে রাসুলে করিম (সা.) বলেন,‘আল্লাহর রাহে মুজাহিদের উদাহরণ সেই ব্যক্তির মতো যে রোজাও রাখে,রাতে নামাজও পড়ে এবং কালামে পাক তেলাওয়াত করে। কিন্তু রোজায় সে কাতর হয় না,নামাজেও তার শৈথিল্য আসে না। ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহর পথে জিহাদকারীর অবস্থাও অনুরূপ থাকে।’(বুখারি,মুসলিম, নাসায়ি,ইবনে মাজা ও তিরমিযি) 

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে,‘নবী করিম (সা.) বলেছেন,সারা দুনিয়ার মানুষ আমার হয়ে যাওয়ার চেয়ে আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যুবরণ করা আমার কাছে অধিক প্রিয়।’(নাসায়ি) আল্লাহ বলেন,‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা সারিবদ্ধভাবে সিসা নির্মিত দেয়ালের মতো মজবুতভাবে আল্লাহর পথে শত্রু দমনে সশস্ত্র অভিযান করে,যুদ্ধ করে।’কোরআন ও হাদিসের আলোকে আজকের যুগের মুসলমানদের চিন্তা করা উচিত তারা জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহ থেকে কত দূরে। এজন্যই মুসলমানদের আজ এই পরিণতি। সুতরাং মানবতার মুক্তি নিশ্চিত করতে হলে যে উদ্দেশ্যে রমজানে কোরআন নাজিল করা হয়েছে সে কোরআনের সমাজ বিনির্মাণে আমাদের জান ও মাল উত্সর্গ করতে হবে। সত্যিই এ ধরায় যদি দ্বীন কায়েম হয় তাহলে মানবতার জয়গানে মহীরুহ হবে এই বিশ্বময়। দূর হবে আমাদের মধ্যে হানাহানি,হিংসা-বিদ্বেষ,উঁচ-নিচুর ভেদাভেদ। আসুন রমজানের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে,নিজেদের জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার মাধ্যমে সমাজকে আল কোরাআনের আলোয় উদ্ভাসিত করি।

Next Post
দৃঢ় কদমে এগিয়ে যেতে হবে মনজিলের দিকে – ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম

দৃঢ় কদমে এগিয়ে যেতে হবে মনজিলের দিকে - ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম

সাম্প্রতিক পোস্ট

  • Single deck Black-jack Vegas Regulations and you may Means
  • Play Free online Electronic poker Games Finest Electronic poker
  • Play american roulette on line 100 percent free double no roulette game
  • The data Webpage to have Business Research, Market research and you may Field Education
  • Western Baccarat No Commission Comment Gamble Totally free Demonstration 2025
  • Mini Baccarat 2025: Gamble Free or Real money On line, Laws, Procedures Baccarat Wiki
  • Greatest Internet poker Real money Sites to own Usa People
  • Top ten Gambling enterprise Gaming Internet sites for real Money in the us 2025
  • Gamble Internet poker Online game for real Money Casino poker Bed room 2025
  • Solitaire Winnings Real money Programs on google Gamble
https://www.youtube.com/watch?v=KJBC8VQb4LA
  • গুরুত্বপূর্ণ লিংক
  • কেন্দ্রীয় সংগঠন
  • সাইট ম্যাপ
  • যোগাযোগ
যোগাযোগ করুন
৫০৫, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার
ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৩৩১৫৮১
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৮৩২১২১২
ইমেইল: drkarim31@gmail.com

© ২০২২ ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম কতৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জীবন বৃত্তান্ত
  • লেখালেখি
    • দারসুল কুরআন
    • দারসুল হাদিস
    • ইসলামী আন্দোলন
    • বাংলাদেশ
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • ধর্ম
    • ইতিহাস
    • প্রবন্ধ
    • অর্থনীতি
    • বিবিধ
  • তথ্যকোষ
    • বই
    • বক্তব্য
    • ছবি গ্যালারী
    • ভিডিও গ্যালারী
  • সংবাদ/কার্যক্রম
    • দাওয়াহ কার্যক্রম
    • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
    • তথ্য ও গবেষণা
    • বিবৃতি/বাণী
    • সংগঠন ও রাজনীতি
    • আইন ও মানবাধিকার
    • আন্তর্জাতিক
    • পরিবেশ ও কৃষি উন্নয়ন
    • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি
    • যুব ও ক্রীড়া
    • শ্রমিক কল্যাণ
    • সমাজ কল্যাণ
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
    • স্বাস্থ্যসেবা
  • যোগাযোগ

© ২০২২ ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম কতৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত