মুসলমানদের জীবনে প্রতি বৎসর দুটি ঈদ নিয়ে আসে আনন্দের ফল্গুধারা। অনেক আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা, মমতা দিয়ে ঈদের এ পবিত্র ও অনাবিল আনন্দ উৎসবে উঁচু-নিচু, ধনী-গরীব, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যেন একাকার হয়ে যায়। কবি ফররুখ এর ভাষায়-”সবাই মিলে একদলে/এক আশাতে যাই চলে/এক আশাতে যাই বলে/ঈদগাহ হবে দুনিয়াটাই”। মুসলমানরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্য পরায়ণতার চেতনা নিয়ে সবাই এক ঈদগাহে মিলিত হয়ে খুব ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে ঈদ উপভোগ করে। ঈদের দিনকে ফেরেস্তাদের জগতে (আসমানে)” পুরস্কারের দিন” দিন বলা হয়। সা’দ বিন আওস আনসারী (রা.) বর্নিত রাসূল (স.) বলেছেন, যখন ঈদ-উল-ফিতর এর দিন উপস্থিত হয়, তখন আল্লাহর ফেরেস্তাতারা সমস্ত রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে বলতে থাকেঃ হে মুসলমানরা! তোমাদের প্রভুর কাছে চলো, যিনি অতি দয়ালু, যিনি নেকী ও মঙ্গলের কথা বলেন এবং সেই মতে আমল করার তৌফিক দান করেন আর এ জন্য বহু পুরস্কার দান করে থাকেন। তাঁর তরফ থেকে তোমাদের রাত্রে তারাবী পড়ার হুকুম করা হয়েছে, তাই তোমরা তারাবী পড়ছো। তোমাদেরকে দিনে রোজা রাখার হুকুম করা হয়েছে, তাই তোমরা রোজা রাখছো এবং প্রভুর আনুগত্য করছো। সুতরাং, চলো নিজ নিজ পুরস্কার গ্রহণ কর। অতঃপর তারা যখন ঈদের নামাজ পড়া শেষ করে, তখন আল্লাহর এক ফেরেস্তা ঘোষণা করেঃ শুনো, তোমাদের প্রভু তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। অতএব তোমরা কামিয়াবী এবং সফলতার সাথে ঘরে ফিরে যাও। (তারগীব ও তারহীক)
(চলবে)